
সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে থেমে যেতে বসেছে এক মেধাবী ছাত্রীর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের তপস্বীডাঙ্গা গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক মো. আছাদুল বিশ্বাসের কন্যা মীম আখতার শিখা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।
কঠিন অর্থনৈতিক বাস্তবতা সত্ত্বেও তিনি নির্ধারিত প্রাথমিক ভর্তি ফি ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে পরিশোধ করেন। কিন্তু ভর্তি নির্দেশিকার সময়সীমা না বুঝে কাগজপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ (১ জুলাই)-কে ৭ জুলাই বলে ধরে নেন মীম ও তার পরিবার।
শেষ পর্যন্ত ৭ জুলাই, অনেক কষ্টে ধারদেনা করে যশোর থেকে গোপালগঞ্জ পৌঁছে কাগজপত্র জমা দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুঃখজনকভাবে তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়— সময় পেরিয়ে গেছে এই যুক্তিতে।
এ ঘটনায় চরম হতাশায় পড়েছে মীম ও তার পরিবার। যিনি ভ্যান চালিয়ে দিনরাত খেটে মেয়ের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছিলেন, আজ তাঁর সেই স্বপ্ন একটি ছোট ভুলে থেমে যেতে বসেছে।
মীম আখতার শিখা এবং তার পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন মানবিক বিবেচনায় তাকে ভর্তি হতে সুযোগ দেওয়া হয়।